আজ ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পারলো না বাংলাদেশ,বিদায় এশিয়া কাপ থেকে

খেলা ডেস্ক—

পারলো না বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার সাথে হেরে বিদায় নিতে হলো লাল সবুজ দেশের খেলোয়ারদের।

ব্যাটসম্যানরা তাঁদের কাজটা ঠিকঠাকই করতে পারলেও বোলাররা ব্যর্থ হওয়ায় এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চ থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

অথচ টস হেরেও বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। ব্যর্থ দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও এনামুল হক বিজয়কে একাদশ থেকে ছেঁটে ‘মেকশিফট’ দুই ওপেনার নামিয়ে দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সাব্বির রহমান-মেহেদী হাসান মিরাজ নেমেই দেখান অভিপ্রায়। সাব্বির এক চারে আউট হয়ে গেলেও মিরাজ পাওয়ার প্লে কাজে লাগান দারুণভাবে।

লঙ্কান ইনিংসের তখন ১৮ তম ওভার। গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দাসুন শানাকা মেহেদী হাসানের চতুর্থ বলে মারেন বাউন্ডারি। পরের বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে। লঙ্কান অধিনায়কের বিদায়ের পর মনে হচ্ছিল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের মুঠোয়।

কিন্তু ইবাদত হোসেনের ব্যয়বহুল ১৯ তম ওভারেই ম্যাচ আবার চলে যায় শ্রীলঙ্কা দখলের। ইবাদত ১৭ রান দেন ওই ওভারে। চামিকা করুণারত্নকে সাকিব রানআউট করে ফেরালেও ম্যাচটা হাতছাড়া করতে দেননি ‘লেজের’ ব্যাটার আসিথা ফার্নান্দো।

শেষ ওভারে ৮ রানের প্রয়োজনে প্রথম বল থেকে আসে ১ রান। মেহেদীর পরের বলে নিজের দ্বিতীয় বাউন্ডারি মেরে দেন আসিথা। পরের বলে লং অনে ফেলে দুই রান নেওয়ার পর দেখা যায় বল হয়েছে নো। খেলা শেষ! উল্লাসে মাতোয়ারা তখন লঙ্কান ক্যাম্প। ড্রেসিং রুমের গেটে দাঁড়িয়ে চামিকা করুণারত্নে ফিরিয়ে আনেন সেই ‘নাগিন নাচ’।

পুরো ইনিংসে শ্রীলঙ্কা যেখানে একটিও ওয়াইড কিংবা নো বল দেয়নি, বাংলাদেশ সেখানে দিয়েছে ১২ টি!

অতিরিক্ত এই রানই খাদে ফেলে দিয়েছে সাকিবের দলকে।

বাংলাদেশকে পেলেই জ্বলে ওঠা কুশল মেন্ডিস আজও শ্রীলঙ্কাকে পথ দেখিয়েছেন।

তবে বাংলাদেশিদের ‘বোকামির বদন্যতায়’ বেঁচে গেছেন চার-চার বার। ৩৭ বলে ৬০ রান করা কুশলই হয়েছেন ম্যাচসেরা। তাতে ম্লান হয়ে গেছে অভিষেকে ইবাদতের শুরুর ৩ উইকেট আর তাসকিন আহমেদ দুর্দান্ত স্পেল (২ / ২৪) ও মনে রাখার মতো দুটি ডাইভিং ক্যাচ।

৬ ওভারে ৫৫ রান। ২৬ বলে ৩৮ করে বিদায় নেন মিরাজ। তিনে নামা সাকিব ও চারে নামা মুশফিকুর রহিম ছিলেন না সেরা ছন্দে। অনেকটা সময় নিয়ে থিতু হয়ে সাকিব ২২ বলে ফেরেন ২৪ করে। মুশফিক শুরুতেই ৪ রান করে ক্যাচ দেন।

বাংলাদেশ বড় রানে চড়ে মূলত আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাটে। ২২ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৯ করেন আফিফ। মাত্র ৯ বলে ২৪ রানে অপরাজিত মোসাদ্দেক। স্লো গতিতে রান তোলা
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে ২৭ রান এলেও লেগে যায় ২২ বল। সর্বোপরি আজকের ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা জ্বলে উঠলেও ভাল করতে পারেননি বাংলাদেশি বোলাররা। পরাজয়ের জন্য বোলারদেরই দোষ দিচ্ছেন ক্রিকেট সমর্থকরা। অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের স্লো গতির ব্যাট চালানো ও ১২ টি নো বল দেয়াও সাকিবদের দেশে ফিরার টিকেট ধরিয়ে দেয় হাতে।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...